ওয়ার্ল্ড ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সভায় তরঙ্গে গাজা এবং লেবাননের কণ্ঠস্বর
গত রবিবার (১৩অক্টোবর) ইরানের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে জেনেভায় ওয়ার্ল্ড ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের বৈঠক শুরু হয়। জাতিসংঘের সংসদীয় শাখা হিসেবে, ওয়ার্ল্ড ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন বার্ষিক দুটি প্রধান শীর্ষ সম্মেলন করে যেখানে বিশ্বের পার্লামেন্টের ইস্পিকার ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা মতামত বিনিময় করেন এবং রেজুলেশন অনুমোদন করেন। ইরানি পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাকির কালিবাফের সভাপতিত্বে ইরানের একটি প্রতিনিধি দল ও এই বৈঠকে অংশ নেয়।
ইরানি পার্লামেন্টের স্পিকার বলেনঃ জেনেভায় ওয়ার্ল্ড ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সভায় তার প্রধান কর্মসূচি ছিল জায়নবাদীদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের কণ্ঠস্বর এবং লেবাননের জাতির প্রতিরোধের কথা তুলে ধরা।
ইরানি পার্লামেন্টের স্পিকার এই বৈঠকে ফিলিস্তিন ও লেবাননের জনগণের উপর নিপীড়নের কথা তুলে ধরে জোর দিয়ে বলেছেনঃ “ভুয়া ইসরাইলি সরকার সমস্ত ভান পরিত্যাগ করেছে এবং নিঃশব্দে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপরাধ করছে; এটি শুধুমাত্র গাজা বা লেবাননেই ঘটছেনা বরং “দখলকারী ইসরাইলি শাসকদের পুরো ইসলামি ভূখণ্ড জুড়ে এই অপরাধগুলি পুনরাবৃত্তি করার একটি বড় পরিকল্পনা রয়েছে।”
ইরানি পার্লামেন্টের স্পিকার বলেনঃ “ইসরাইল এই অঞ্চলের সমস্ত অবকাঠামো নিয়ন্ত্রণ করতে চায় আর যদি সে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়, সমস্ত অবকাঠামোগুলী ধ্বংস করে দেবে। এমতাবস্থায় ঐক্য এবং একত্রে দাঁড়ানো আমাদের সকলের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন। ইহুদিবাদী শত্রুরা তার ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। যদি আমরা সাহসী হই এবং একে অপরের পিছনে দাঁড়াই তাহলে অপরাধী জায়নবাদ নামক ভ্রম চিরতরে শেষ হয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেনঃ “জায়নবাদী সরকারের সাথে আমাদের যেকোনো ধরনের সহযোগিতা, সাহায্য এবং সংলাপ বন্ধ করতে হবে এবং ইসরাইলকে সাহায্য করে এমন যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রকল্প বন্ধ করতে হবে।”
ইরানি পার্লামেন্টের স্পিকার আরও বহু মূল্যবান কথা বলেন এবং বহু দেশের স্পিকারদের সঙ্গে ফিলিস্তিন ও লেবানন নিয়ে কথা বলেন।
এভাবে ইরানি পার্লামেন্টের স্পিকার গাজা ও লেবাননের জনগণের নিপীড়নের বার্তা জেনেভায় জোরেশোরে ঘোষণা দিয়েছিলেন। ইরানের সংসদীয় প্রতিনিধিদল গাজা এবং লেবাননকে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক আন্তঃ-সংসদীয় ইউনিয়ন সভার ক্ষমতা ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছেন আর এই বৈঠকে ইরানের প্রতিনিধিরা আসলে এই অঞ্চলের নিপীড়িত জাতিগুলোর কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন আর অন্যদিকে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর অপরাধ ও বর্বরতা বিশ্লেষণ করে তাঁরা এই শাসনব্যবস্থাকে আগের চেয়ে অসম্মানজনক করে তুলেছেন।