বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বৈঠক, সীমান্তে সতর্কতা জারি
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সূত্রের খবর, হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিকদের অবস্থা এবং ভারতে বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) সকালে একটি সর্বদল বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর। সেখানে সংসদে উপস্থিত সব দলের প্রতিনিধি ছিলেন। জয়শঙ্কর ওই বৈঠকে জানিয়েছেন, হাসিনা আপাতত দিল্লিতে রয়েছেন। তিনি জরুরি ভিত্তিতে ভারতে সাময়িক আশ্রয় চেয়েছিলেন। হাসিনা বর্তমানে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত বলেও বৈঠকে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেই কারণে আপাতত ভারত সরকার তাঁকে কিছুটা সময় দিয়েছে। এর পর তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, ভারতকে জানাবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী, ভারত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এর পর সংসদের উভয়কক্ষে ভাষণ দিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানেও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশে অন্তত ১৯ হাজার ভারতীয় রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার পড়ুয়া। যাঁদের অনেকেই গত মাসে দেশে ফিরে এসেছেন। বাকিদের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনীকেও সতর্ক করেছে সরকার। তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে দিল্লি। তার মাঝেই নতুন করে জয়শঙ্কর, ডোভালের সঙ্গে বৈঠক সারলেন শাহ।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছে ভারত, জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি এ-ও জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। ভারত সে দিকেও নজর রেখেছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন হাসিনা। তার পর বিমানে বোন রেহানার সঙ্গে তিনি ভারতে চলে এসেছেন। গাজ়িয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে নামেন তিনি। দেখা করেন ডোভালের সঙ্গে। সূত্রের খবর, গাজ়িয়াবাদেই রাত কাটিয়েছেন তিনি। বর্তমানে রয়েছেন দিল্লির গোপন আশ্রয়ে। হাসিনা লন্ডনে যেতে চেয়েছেন। তবে এখনও সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত মেলেনি বলে খবর। সে ক্ষেত্রে তিনি অন্য কোনও দেশে যাবেন কি না, ব্রিটেনে তাঁর আশ্রয়ের আবেদন গ্রাহ্য হবে কি না, সে দিকে নজর রয়েছে।